কবিতা রায়।
আকাশের দিকে যখন তাকাই অপলক দৃষ্টিতে,
হত-বিহবল হই ,মেঘের নানান সৃষ্টিতে ।
ভাবুক হৃদয়ে যখন অবগাহন করি মেঘের সলিলে,
তখন অনুভবে তাকে পাই ,প্রকৃতি সাজিলে।।
যখন রৌদ্রের খরতাপে সবার মাঝে ত্রাহি ত্রাহি রব,
কাল বৈশাখী রূপে তখন, প্রকাশে তব স্বভাব।
মূহুর্তে তুমি লন্ডভন্ড করে দাও সাজানো প্রকৃতি,
রিক্ত,নিঃস্ব করে দাও সব , এ কেমন তোমার কীর্তি ?
মেঘ,তুমি বর্ষার আকাশে হও বর্ষারাণী,
কোন ভাবুক হৃদয়ে কেমন ভাব হয়, তা কি জানি?
কেউ বা তোমাকে নিয়ে লিখে প্রেমের কবিতাখানা,
আর কেউ বা সাজিয়ে তুলে বিচিত্রভাবে প্রবন্ধ ,রচনা।।
তুমি যখন রিমঝিম শব্দে বর্ষিত হও এই ধরণীতে,
আমার মন নিমগ্ন হয় ,তোমার সুরেলা তান শুনতে।
নিজের মাঝে জেগে উঠে ,এক নতুন আমি
কেমনে বর্ণিব সে ভাব,শুধু জানেন অন্তর্যামী।।
দেখি যখন আকাশের নীল, শুভ্র মেঘ
উড়ব আকাশে , মনোজগতে জাগে বিচিত্র আবেগ।
নদীর পাড়ের সেই মোহনীয় কাশবনে,
চখাচখি খেলাছলে দেখে,শুভ্র মেঘ গগনে।।
কখনো বা আকাশে তুমি হও দুরন্ত বালিকা,
বায়ু তব পিছু ধায় ,হয়ে ছুটন্ত চালিকা।
তোমার এই দুরন্তপনা , অস্থির ,চঞ্চল রূপ
নিমিষেই কর শান্ত,আহ! কিবা অপরূপ।।
মেঘ,ধরণীতে তুমি বিচিত্র রূপে কর নানান ঢং,
আমি অনুভবে স্পর্শি,”মেঘের অনেক রং”।।
কবিতা রায়,
প্রধান শিক্ষক,
গোড়াই সঃ প্রাঃ বিঃ,মির্জাপুর ,টাংগাইল।
0 Comments